মূসা (আঃ)-এর সহচর বৃন্দের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও ভীতি-মিশ্রিত এই আচরণের সহিত নবী করীম (সাঃ)-এর সাহাবাগণের স্বেচ্ছা-প্রণোদিত, অবিশ্বাস্য আত্মবলিদানের স্পৃহার তুলনা করুন। তাহারা নবী করীম (সাঃ)-এর সামান্য ইশারা পাওয়া মাত্র মৃত্যুর করাল গ্রাসের মধ্যে ঝাঁপাইয়া পড়িতে একটুও দ্বিধা করিতেন না, বরং সর্বদা মনে-প্রাণে প্রস্তুত থাকিতেন। যখন বদর প্রান্তরে মহানবী (সাঃ) অল্পসংখ্যক, স্বল্পাস্ত্রধারী সাহাবাকে সঙ্গে লইয়া, মক্কার বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ, সুসজ্জিত, ঝানু যোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ-রণে লিপ্ত হইবার বাসনা ব্যক্ত করিলেন এবং এই ব্যাপারে তাহাদের পরামর্শ চাহিলেন, তখন একজন সাহাবী (সহচর) দাঁড়াইয়া অতি বিনয়ের সহিত রসূলে করীম (সাঃ)-কে সম্বোধণপূর্বক এই অবিস্বরণীয় কথাগুলি উচ্চারণ করিয়াছিলেন,“ইয়া রসূলাল্লাহ্! মূসা (আঃ) কে তাহার জাতি বলিয়াছিল, ‘তুমি ও তোমার প্রভু যাইয়া যুদ্ধ কর, আমরা এখানে বসিয়া থাকিলাম’ কিন্তু আমরা এরূপ কথা আপনাকে বলিব না। তদ্বিপরীত, ইয়া রসূলাল্লাহ ! আমরা আপনার চিরসঙ্গী, আপনি যেখানে যাইবেন, আমরাও সেখানেই যাইব। আমরা শত্রুগণের সহিত আপনার ডানে লড়িব, আপনার বামে লড়িব, আপনার সম্মুখভাগে লড়িব, আপনার পশ্চাদভাগে লড়িব এবং আমরা বিশ্বাস রাখি, আপনি আমাদের কাছ হইতে এমন কিছু দেখিতে পাইবেন, যাহা আপনার নয়নদ্বয়কে তৃপ্ত করিবে” (বুখারী)।