৬৯৬

ইহুদীরা মরিয়মকে অবিবাহিতা অবস্থায় যৌনাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে (প্যান্থার কর্তৃক প্রণীত যীশুর ইহুদী-জীবন)। মরিয়মের বিরুদ্ধে ইহুদীরা ‘কুৎসা-রটনা’ করে। মরিয়মের সম্বন্ধে ইহুদীদের ‘কুৎসা-রটনা’ শব্দগুলি উল্লেখ করিয়া কুরআন মরিয়মের সতীত্ব বর্ণনা করিয়াছে এবং স্পষ্ট বলিয়া দিতেছে যে, ঈসার (আঃ) জন্ম পিতৃমাধ্যম ছাড়াই হইয়াছিল। কারণ যদি ঈসার (আঃ) পিতাই থাকিত, তাহা হইলে মরিয়মের বিরুদ্ধে ইহুদীদের কুৎসা রটনার কোন সুযোগই থাকত না। আর অন্য কোনও ধরণের কুৎসাও মরিয়মের বিরুদ্ধে ছিল না। ঈসা (আঃ)-এর নবুওয়াত দাবীর প্রেক্ষিতে মরিয়মকে বিদ্রুপ করা হইয়াছিল বটে, কিন্তু কুরআন এই কুৎসাকে গুরুত্ব দেয়নাই এবং স্বীকার করে নাই। কুরআনের অন্যত্র ইহুদীদের এই জঘন্য অপবাদকে খণ্ডন করিয়া বলা হইয়াছে, “ঈসার (আঃ) মাতা ধার্মিকা, সতী রমণী ছিলেন” (৩ঃ৮৩, ৫ঃ৭৬)।