এই আয়াতের তাৎপর্য হইল, সুপারিশ করার কাজটি হালকা মনে করা ঠিক নয়। যে ব্যক্তি অন্যের জন্য কোন সুপারিশ করে, সুপারিশকারী ব্যক্তি নিজে তাহার সুপারিশের ন্যায্যতার জন্য দায়ী হইবে। তাহার সুপারিশ যদি সঠিক ও ন্যায়ভিত্তিক হইয়া থাকে, তাহা হইলে সে পুরস্কৃত হইবে। অন্যথায় তাহার সুপারিশের খারাপ ফলাফলের জন্য সে দায়ী হইবে। এ কথাটা এইখানে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা প্রয়োজন যে সৎ কাজের সুপারিশের ক্ষেত্রে ‘নসীব’ (অংশ) শব্দদ্বারা পুরস্কারের ইঙ্গিত করা হইয়াছে এবং অন্যায় সুপারিশের ফলশ্রুতি ‘কিফল’ (সম-পরিমাণ অংশ) শব্দদ্বারা ব্যক্ত করা হইয়াছে। ইহাতে বুঝানো হইয়াছে যে, মন্দ-সুপারিশের শাস্তি সম-পরিমাণের হইবে, কিন্তু উত্তম সুপারিশের পুরস্কার হইবে অনেক বেশী, যাহা আল্লাহ্তা’লা ন্যূনতম পরিমান দশগুণ বলিয়া ব্যক্ত করিয়াছেন।