৫৯৩

আল্লাহ্ এই কারণে শরীয়াত পাঠাইয়াছেন যাহাতে মানুষ সঠিক পথ প্রাপ্ত হয় এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করিতে পারে। মানুষ দুর্বল। সে নিজে নিজে আধ্যাত্মিক পথের সন্ধান পাইতে পারে না বলিয়া, আল্লাহ্ দয়া পরবশ হইয়া স্বয়ং এই ব্যবস্থা করিয়াছেন, এবং তাহার দায়িত্বের লাঘব করিয়াছেন। এই আয়াত খৃষ্ট-ধর্মের প্রায়শ্চিত্তবাদের অযৌক্তিকতা সাব্যস্ত করে। খৃষ্টানরা বলে যে, মানুষ দুর্বল,অতএব শরীয়াত বা ধর্মীয় আইন-পালন তাহাদের দ্বারা সম্ভব নয়। তাই তাহারা শরীয়াত বাতিল করিয়া প্রায়শ্চিত্তকেই মুক্তির পথ হিসাবে গ্রহণ করিয়াছে। অপর দিকে ইসলাম বলে, মানুষের এই দুর্বলতা আল্লাহ্‌র করুণা আকর্ষণ করিয়াছে এবং আল্লাহ্‌তা’লা দুর্বল মানুষের উদ্ধারের উপায় হিসাবে শরীয়াত দান করিয়াছেন যাহাতে শরীয়াতের সিঁড়ি বাহিয়া মানুষ আধ্যাত্মিক উন্নতি করিতে করিতে স্বীয় অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছয়া যায়। অতএব, শরীয়াত ‘অভিশাপ’ তো নয়ই, বরং মানুষের জন্য পরম সাহায্য ও আশীর্বাদ স্বরূপ।