“ফাহিশাহ্” শব্দটি যে ভাবে কুরআনে ব্যবহৃত হইয়াছে (৭ঃ২৯, ৩৩ঃ৩১, ৬৫ঃ২), ইহার অর্থ ঐ ধরণের অবৈধ যৌন-সংগম বা ব্যভিচারই বুঝায় না যাহার জন্য ২৪ঃ৩ আয়াতে শাস্তির বিধান রহিয়াছে। শব্দটি প্রকাশ্য বা এমন অপকর্মের জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে, যাহা সমাজের সংহতি বিনাশ করে এবং শান্তি ভঙ্গের কারণ হইয়া দাঁড়ায়। এই আয়াতে যে ধরণের অপরাধী স্ত্রীলোকের উল্লেখ করা হইয়াছে, ঠিক সেই ধরনের অপরাধী পুরুষের উল্লেখ পরবর্তী আয়াতে রহিয়াছে—নির্দিষ্ট শাস্তির উল্লেখ ছাড়া। এই অপরাধী পুরুষের অপরাধ হইল কুৎসিৎ ও নৈতিকতা বর্জিত কার্যকলাপ, যাহা অবৈধ যৌন-মিলন বা ব্যভিচারের পর্যায়ে পৌঁছায় নাই, তার নীচে আছে। এই অভিমত হইল, আবু মুসলিম ও মুজাহিদেরও। ঐসব স্ত্রীলোককে অন্যান্য স্ত্রীলোকের সাথে মিলামিশা হইতে দূরে রাখিতে হইবে, যে পর্যন্ত তাহারা আত্ম-সংশোধন না করে অথবা বিবাহিতা হইয়া চলিয়া না যায়, বিবাহ একটি পথ যাহা আল্লাহ্ তাহাদের জন্য খুলিয়া দেন। যেহেতু অপরাধের গুরুত্ব ও অভিযোগের প্রকৃতি ভয়ানক, সেহেতু চারিজন সাক্ষীর প্রয়োজন, যাহাতে অভিযুক্ত মহিলার প্রতি কোন অবিচার না হয়।