এই আয়াতে ‘আফ্ওন্’ এর তিনটি অবস্থার উল্লেখ আছে। প্রথম অবস্থা হইল, যে বিশ্বাসী ব্যক্তির প্রতি অপরাধ করা হইল, তিনি নিজের রাগকে সংযত করিলেন। দ্বিতীয় অবস্থা হইল, তিনি অপরাধীকে নিজ হইতেই ক্ষমা করিয়া দিলেন। তৃতীয় অবস্থা এই যে, তিনি তাহাকে কেবল ক্ষমা করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন না, বরং অপরাধীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করিলেন এবং তাহার কিছু উপকারও সাধন করিলেন। এই তিনটি স্তরের ‘আফ্ওন্’ এর দৃষ্টান্ত আমরা মহানবী (সাঃ)-এর দৌহিত্র এবং আলী (রাঃ) এর পুত্র হযরত ইমাম হাসান (রাঃ)-এর জীবনের একটি ঘটনা হইতে দেখিতে পাই। তাঁহার এক গোলাম অপরাধ করিলে তিনি খুবই রাগান্বিত হইলেন এবং তাহাকে মারিতে উদ্যত হইলেন। গোলাম পাঠ করিল যাহারা ক্রোধ সংবরণকারী এই আয়াতাংশ শুনিবা মাত্র, হাসান (রাঃ) থামিয়া গেলেন। গোলাম তখন পাঠ করিল, “যাহারা মানুষের প্রতি মার্জনাশীল।” সাথে সাথে হাসান (রাঃ) তাহাকে ক্ষমা করিয়া দিলেন। অতঃপর, গোলামটি আয়াতের শেষাংশটি পাঠ করিলেন, “আল্লাহ্ ভালবাসেন সৎকর্মশীলগণকে”,। আল্লাহ্র এই বাক্য শ্রবণ মাত্র তিনি গোলামটিকে মুক্ত করিয়া দিলেন (বয়ান, ১ম, ৩৬৬)।