৪২৮-গ

(১) “এবং (তাহারা ইহাও বলে) ঐ ব্যক্তি ছাড়া, যে তোমাদের দীনের অনুসরণ করে, অন্য কাহাকেও মান্য করিও না”—এই বাক্যটি পূর্ব বাক্যটিরই সম্প্রসারিত অংশ।তৎপর আসিয়াছে একটি অন্তর্বর্তী বাক্য “নিশ্চয় আল্লাহ্‌র হেদায়াতই প্রকৃত হেদায়াত, উহা এই যে, কাহাকেও তদনুযায়ী দেওয়া হউক যাহা তোমাদিগকে দেওয়া হইয়াছে।” অতঃপর, ইহুদীদের বক্তব্য আবার শুরু হইল, “অন্যথায় তাহারা তোমাদের প্রভুর সম্মুখে তোমাদের নিকট দলিলাদি পেশ করুক।” সর্বশেষে আয়াতটি আল্লাহ্‌র নির্দেশ দ্বারা সমাপ্ত হইল – “নিশ্চয় সকল ফযল আল্লাহ্‌র হাতে …….. প্রাচুর্য দানকারী, সর্বজ্ঞানী।” এইরূপ প্রকাশ-ভঙ্গি কুরআনের একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য, যাহা দ্বারা মনস্তাত্বিক প্রভাব-বিস্তার সম্ভব হইয়া থাকে। (২) অন্য ব্যাখ্যা মতে, ‘আল্লাহ্‌র হেদায়াতই প্রকৃত হেদায়াত’ বাক্যটি অন্তর্বতী এবং পরবর্তী কথাগুলি যথা, ‘কাহাকেও তদনুযায়ী দেওয়া হউক যাহা তোমাদিগকে দেওয়া হইয়াছে’ অথবা ‘তাহারা তোমাদের প্রভুর সম্মুখে তোমাদের নিকট দলিলাদি পেশ করুক’ ইহুদীদের বক্তব্যের অংশ গণ্য হইবে। (৩) আবার তৃতীয় ব্যাখ্যানুসারে, ইহুদীদের বক্তব্য, ‘ঐ ব্যক্তি ছাড়া, যে তোমাদের দীনের অনুসরণ করে, অন্য কাহাকেও মান্য করিও না’ এই বাক্যটি দ্বারাই সমাপ্ত হইয়া গিয়াছে। এই বাকী সবকথাই আল্লাহ্‌তা’লার স্বীয় বক্তব্য। বিস্তারিত জানার জন্য ইংরেজি বা উর্দু তাফসীরের বৃহত্তর সংস্করণ দেখুন।