৪২১-ক

এই কথাটার মধ্যে মূসা (আঃ)-এর শরীয়াতের কোনও পরিবর্তন সাধনের প্রতি ইঙ্গিত নাই। ইহুদীরা মনগড়াভাবে যে সব বস্তু নিজেদের জন্য হারাম (নিষিদ্ধ) বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিল, সেই বস্তুকে শরীয়াত মোতাবেক তিনি হালাল ঘোষণা করিয়াছিলেন (৪ঃ১৬১ ৪৩ঃ৬৪)। এই দুইটি আয়াত হইতে জানা যায়, বিভিন্ন ইহুদী ফেরকার (দলের) মধ্যে, ব্যবহারিক বস্তুর বৈধতা-অবৈধতা নিয়া মতভেদ প্রবল ছিল এবং তাহাদের অন্যায় আচরণ ও সীমালঙ্ঘনের কারণে, তাহারা আল্লাহ্‌র দীনের কতকাংশ হইতে নিজদিগকে বঞ্চিত করিয়াছিল। ঈসা (আঃ) বিচারক ও মীমাংসাকারীরূপে আগমন করিয়া তাহাদিগকে ভুল-ভ্রান্তিগুলি বুঝাইয়া দিলেন, কোন পথ সঠিক আর কোন পথ সঠিক নয়, তাহাও বুঝাইয়া দিলেন এবং বলিলেন, তাহাকেই মীমাংসাকারীরূপে মানিয়া নিলে তাহারা যেসব স্বর্গীয় অনুগ্রহরাজি হইতে বঞ্চিত হইয়াছে, সেইগুলি তাহারা পুনঃপ্রাপ্ত হইবে (কাসীর, ফাতহ্ এবং মুহীত)।