এমন অনেক তথ্য কুরআন মরিয়ম সম্বন্ধে সরবরাহ করিয়াছে, যাহা অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থে পাওয়া যাইবে না। তাই, ঐ তথ্যগুলিকে “অজানা-অদেখা বস্তু” বলা হইয়াছে। পরবর্তী আয়াতগুলিতে বর্ণিত হইয়াছে যে, মরিয়ম যখন উপাসনালয়ে উৎসর্গীত জীবন যাপন করিতেছিলেন, তখনই তিনি অন্তঃসত্বা হন। এই অত্যাশ্চর্য ঘটনায় পুরোহিতেরা উদ্বিগ্ন হইয়া পড়েন। তাহারা কলঙ্কের ভয়ে, নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করেন। অতঃপর, তাহারা ভাগ্য পরীক্ষার মাধ্যমে ঠিক করিলেন, কে মরিয়মের অভিভাবকত্ব গ্রহণ পূর্বক তাহার বিবাহের ব্যবস্থা করিবেন। যোসেফ নামক একব্যক্তি, যাহাকে ইনজীলে কাঠমিস্ত্রী বলা হইয়াছে, মরিয়মের যোগ্য পাত্র বলিয়া তাহারা স্থির করিলেন এবং তাহাকে স্বামীত্বের দায়িত্ব বহনের জন্য বহুকষ্টে রাজি করাইলেন। স্বভাবতঃই, এই সব কিছু সংগোপনে করা হইয়াছিল। তাই ইহাকে গায়েব (অদৃশ্যবস্তু) বলা হইয়াছে, যাহা কুরআন সবিস্তারে প্রকাশ করিল।