যেহেতু সন্তান মায়ের গর্ভে থাকিবার সময়ও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, সেই হেতু শিশু মায়ের শারীরিক ও নৈতিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবান্বিত হইয়া থাকে। অতএব, ঈসা (আঃ) ও যখন অন্যান্য মানুষেরই মতই মাতৃগর্ভে শারীরিক পুষ্টিলাভ করিয়াছিলেন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মাতার দৈহিক-মানসিক গুণাবলী ও সীমাবদ্ধতা দ্বারা প্রভাবান্বিত না হইয়া জন্ম গ্রহণ করেন নাই। এই কারণেই, মহানবী (সাঃ) যখন নাজরান হইতে আগত খৃষ্টানদের সঙ্গে ধর্মালোচনায় রত হইলেন, তখন তিনি ঈসা (আঃ)-এর মাতৃজঠর হইতে জন্মলাভের যুক্তি দিয়া বুঝাইয়া ছিলেন যে, ঈসা (আঃ ) খোদা হইতে পারেন না। জানা যায়, তিনি তাহাদিগকে বলিয়াছিলেনঃ “আপনারা কি জানেন না, একজন স্ত্রীলোক ঈসা (আঃ)-কে গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন এবং সাধারণভাবে একজন স্ত্রীলোক যেরূপে সন্তান প্রসব করেন, তিনি ঠিক সেইভাবে ঈসা (আঃ)-কে প্রসব করিয়াছিলেন?” (জরীর, ৩য় খণ্ড, ১০১পৃঃ)।