‘জুয্’ অর্থ কোনও বস্তুর অংশ বা ভাগ। অতএব, একটি বস্তু যদি একটি দল হয়, তাহা হইলে ‘জুয্’ বলিতে ঐ দলের প্রত্যেক সদস্যকে বুঝায়। ইহা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর একটি ‘কাশ্ফ’। ‘চারিটি পাখী লও’ কথার মধ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হইয়াছে যে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ)- এর বংশধরেরা চারিবার উত্থান-পতনের সম্মুখীন হইবে। এই ঘটনা দুইবার ইসরাঈলীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ করা হইবে এবং পুনরায় দুইবার আঁ হযরত (সাঃ) (যিনি হযরত ইসমাঈলের মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর বংশোদ্ভূত) ও তাঁহার অনুসারীদের মধ্যে ঘটবে। ইহুদীগণ (যাহারা হযরত ইসহাকের মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর বংশ) দুইবার ধ্বসের সম্মুখীন হয়—প্রথমবার নবুখদ নিৎসরের হাতে এবং দ্বিতীয়বার টাইটসের হাতে (১৭ঃ৫-৮, এনসাই, রূট যিউ শীর্ষক অধ্যায়)। প্রত্যেক বারই আল্লাহ্তা’লা তাহাদিগকে অধঃপতনের পর পুনরুদ্ধার করেন। দ্বিতীয়বারে পুনরুদ্ধার ঘটে, রোম সম্রাট কনষ্টাইনের দ্বারা যিনি স্বয়ং খৃষ্ট-ধর্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। অনুরূপ ভাবে, মুসলমানের শৌর্যবীর্য দুর্ধর্ষ তাতার বর্বরদের হাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় আর মুসলমানদের কেন্দ্রভূমি বাগদাদ নগরীতে তাতার-রাজ হালাকু খানের নৃশংস নরহত্যার হোলি খেলা সংঘটিত হয়। তবে, মুসলমানেরা শীঘ্রই এই ধ্বংসলীলা হইতে উদ্ধার লাভ করে। বিজয়ীরাই বিজিত হইয়া যায় এবং হালাকু খানের পৌত্র ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে পিতামহের হত্যালীলার প্রায়শ্চিত করেন। ইসলামের দ্বিতীয় পতন ঘটে এই আখেরী যামানাতে যখন সার্বিকভাবে এবং সাধারণভাবে মুসলমানেরা নৈতিক, আধ্যাত্মিক এবং রাজনৈতিক দিক হইতে অধঃপতিত হইয়া পড়িয়াছে। প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আঃ)-এর মাধ্যমে ইসলামের পুনর্জাগরণের ও বিশ্ববিজয়ের কাজ আরম্ভ হইয়া গিয়াছে।