এই বাক্যদ্বারা একথা বুঝায় না যে, নবীগণের মধ্যে এমন কেহ কেহ আছেন, যাহাদের সাথে আল্লাহ্ কথা বলেন না, কিংবা যাহারা আধ্যাত্মিকতার উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত নহেন। এই বাক্যটির আসল অর্থ হইল, নবী দুই প্রকারের হইয়া থাকেনঃ (ক) যাহারা নূতন শরীয়াত আনয়ন করেন— তাহাদিগকে মুকাল্লাম নবী বলা হয়, (খ) অন্যেরা আধ্যাত্মিক মর্যাদায় অত্যুচ্চ স্তরে থাকা সত্বেও গয়ের মুকাল্লাম নবী। রেওয়ায়াত আছে, হযরত রসূলে করীম (সাঃ) বলিয়াছেন, হযরত আদম (আঃ) মুকাল্লাম নবী ছিলেন (মুসনাদ)।