‘ইয়ুতিকুনাহু’র অর্থ করা হইয়াছে, যাহাদের পক্ষে ইহা ক্ষমতাতীত বা যাহারা অতিকষ্টে ইহা (রোযা) করিতে পারে। অন্য পাঠ ‘ইয়ুতাঈকুনাহু’ এই অর্থকে সমর্থন করে (জরীর)। এই আয়াতে তিন শ্রেণীর বিশ্বাসীকে রোযার ব্যাপারে কিছুটা রেহাই বা সুবিধা দেওয়া হইয়াছে— অসুস্থ, ভ্রমণরত এবং অতি দুর্বল দিগকে। ‘ইয়ুতিকুনাহু’র অর্থ এখানে “যাহারা রোযা রাখিতে অসমর্থ” হইতে পারে (লিসান ও মুফরাদাত)। সমস্ত বাক্যটির অর্থ এইরূপও করা হইয়াছে, “রোযা রাখা ছাড়াও, অতিরিক্ত পুণ্য অর্জনের জন্য সামর্থ্যবান ও অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ” গরীবদিগকে খাওয়াইতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ‘ইয়ুতিকুনাহু’র ‘হু’ সর্বনামটি একজন গরীবকে “খাওয়ানোর” পরিবর্তে ব্যবহৃত হইবে।