সত্য বিশ্বাসের সহিত সৎকর্মের সংযোগ থাকা একান্ত প্রয়োজন। এই আয়াতের দ্বারা, প্রতিশ্রুত মহাপুরুষের কার্যাবলী সম্পর্কিত ইব্রাহীম (আঃ)-এর দোয়ার অংশটুকুর আলোচনা শুরু হইল। অর্থাৎ শরীয়াতের আইন-কানুন এবং উহার মধ্যে নিহিত যুক্তি ও প্রজ্ঞার বর্ণনা আরম্ভ হইল। এখান হইতে নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাতের অধ্যাদেশ জারী করা হইল৷ সামাজিক চাল-চালন ও ব্যবস্থাপনার বিষয়েও নিয়ম-কানুন প্রবর্তন করা হইল এবং এই ব্যাপারে যেহেতু, খাদ্য মানুষের চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই ইহারই নিয়ম-কানুন প্রথমে বর্ণিত হইল। ইসলামের মতে খাদ্য যে প্রকারেরই হউক না কেন, তাহা হইতে হইবেঃ (১) ‘হালাল’ (বৈধ)- শরীয়াতের আইন মোতাবেক, (২) ‘তৈয়্যব’ অর্থাৎ ভাল,পবিত্র, পরিমিত স্বাস্থ্যকর ও রুচিমাফিক। দ্বিতীয় শর্তের কারণে অনেক সময় আইন-সিদ্ধ খাবারও নিষিদ্ধ হইয়া পড়ে।