এই আয়াতটি কৃতকার্যের সুবর্ণ নীতি সম্বলিত। প্রথমতঃ একজন মুসলমানের উচিত তাহার প্রচেষ্টায় সে যেন লাগিয়া থাকে এবং তাহার অধ্যবসায়ে যেন কখনও ভাঁটা না পড়ে, উদ্দেশ্য সাধনের পথে কখনও যেন মনে নৈরাশ্য সৃষ্টি না হয়, যাহা কিছু মন্দ ও ক্ষতিকর তাহাই যেন সে বর্জন করে এবং যাহা ভাল তাহাই যেন সে আঁকড়াইয়া থাকে (‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’ ইহাই হইবে তাহার ব্রত)। দ্বিতীয়তঃ সাফল্য অর্জনের জন্য তাহাকে আল্লাহ্তা’লার সমীপে প্রার্থনা করিতে হইবে, কেননা সকল মঙ্গলের আকর একমাত্র তিনিই। এই আয়াতে সালাত (নামায) শব্দের পূর্বে সব্র (ধৈর্য ও অধ্যবসায়) শব্দটি এই জন্য আসিয়াছে যে, মানুষ সাধারণতঃ আল্লাহ্র আইন-কানুন মানিয়া চলিতে অবহেলা বা অজ্ঞতা প্রদর্শন করে এবং তাড়াতাড়ি সুফল পাইবার জন্য ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়ে। অথচ সফলতা লাভের চাবিকাঠি রহিয়াছে আল্লাহ্র নিয়ম-কানুন মানার মধ্যে। সেখানে ধৈর্য ধারণ অত্যাবশ্যক। প্রার্থনা কেবল তখনই ফলপ্রসূ হয়, যখন অভীষ্ট বস্তু পাওয়ার যতসব আবশ্যকীয় উপায় আল্লাহ্তা’লা সৃষ্টি করিয়াছেন সেইগুলি সঠিকভাবে অবলম্বন করা হয়।