৪৮

আল্লাহ্‌তা’লা কুরআনে বেহেশত ও দোযখের রূপক ও আলঙ্কারিক উপমাসূচক বর্ণনা দিয়াছেন। রূপক বর্ণনা ও আলঙ্কারিক উপমা গভীর অর্থ-বোধক হইয়া থাকে। বিশেষতঃ আধ্যাত্মিক বিষয়াবলীতে শাব্দিক ও আক্ষরিক ভাবে যে সব গভীর তত্ত্ব প্রকাশে সীমাবদ্ধতা থাকে, সেই সব ক্ষেত্রে ভাব প্রকাশের জন্য রূপক, উপমা ও আলঙ্কারিক ভাষা ব্যবহারই বোধ হয় একমাত্র পন্থা। শব্দের মাধ্যমে বেহেশ্‌তের বর্ণনা দেওয়া আর একটি মশা-মাছি দ্বারা হাতীর বর্ণনা দেওয়া সমান কথা। তবুও তুচ্ছপ্রাণীটির তুলনা দ্বারা মনের মধ্যে আমরা একটি চিত্র লাভ করিয়া থাকি। মো’মেনগণ ভালভাবেই জানেন যে, এই শব্দগুলি আলঙ্কারিক ও রূপক এবং ইহাদের মাধ্যমে তাহারা অর্থের গভীরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু অবিশ্বাসীরা ইহাদের (শব্দগুলির) মধ্যে কেবল দোষ-ত্রুটির সন্ধান করে,আর এই ছিদ্রান্বেষণের নেশায় তাহারা হেদায়াত প্রাপ্তি হইতে দূরে সরিয়া যায়।