“রহমত” (অনুগ্রহ) শব্দ এ স্থানে বৃষ্টির প্রতি ইংগিত করিতেছে। জড়জগতে ঠিক যেমন বৃষ্টির পূর্বে হিমেল বাতাস অগ্রগামী দূতের কাজ করে, একই ভাবে আল্লাহ্তা’লার প্রত্যাদিষ্ট নবী আবির্ভূত বা প্রকাশিত হওয়ার প্রাক্কালেও মানুষের মধ্যে সাধারণভাবে এক প্রকার ধর্মীয় জাগরণ পরিলক্ষিত হয়। অত্র আয়াতে ইহাই ব্যক্ত হইয়াছে যে, বৃষ্টির পানি যেমন মৃত বা অনুর্বর ভূমিতে উর্বরতা বা নূতন জীবনের সঞ্চার করে বলিয়া উহাতে ফল, সবজি এবং শস্যাদি উৎপন্ন হয়, সেইরূপে স্বর্গীয় পনিরূপী ঐশী-বাণী আধ্যাত্মিক জীবন বিবর্জিত মানুষের মধ্যে নূতন জীবনের সঞ্চার করে। তদনুসারে এই আয়াত এক প্রতিশ্রুতি দিতেছে যে, কুরআনরূপে ঐশী-পানি অবতরণের ফলে বিবর্ণ, শুষ্ক, বন্ধা এবং অনুর্বর আরবের মরুভূমি শীঘ্রই ফলে ভরপুর বৃক্ষরাজিপূর্ণ এবং সুগন্ধী রাশি রাশি ফুলে সুশোভিত উদ্ভিদপূর্ণ এক বাগানে রূপান্তরিত হইবে। ইহাতে বিস্ময়ের কিছু নাই যে, আরববাসীগণ হঠাৎ মানবের শিক্ষাগুরু এবং নেতারূপে উত্থিত হইল, যাহারা এযাবৎ মানবতার আবর্জনাস্বরূপ, পঙ্কিল এবং নিকৃষ্ট অংশ বিবেচিত হইয়া আসিতেছিল।