৮৭১

এই আয়াতের অর্থ ইহা নহে যে, প্রত্যেক নবীকেই পৃথক পৃথক কিতাব দেওয়া হইয়াছিল। “কিতাব দেওয়া” কুরআনে ব্যবহৃত একটি প্রকাশ-ভঙ্গী, যাহা সাধারণতঃ শরীয়াতবাহী নবীর মধ্যবর্তিতায় দেওয়া অর্থে বুঝায়। কুরআন করীমের অন্যত্র (৪৫ঃ১৭) আয়াতে উল্লেখ আছে যে, তিনটি বিষয়, যথা—কিতাব, সাম্রাজ্য এবং নবুওয়াত বনী ইসরাঈলকে দেওয়া হইয়াছিল। ৫ঃ৪৫ আয়াতে দেখা যায় যে, বহু নবীর এক প্রবহমান ধারা হযরত মূসা (আঃ)-এর পরেও জারী ছিল। তাঁহাদিগকে নূতন কোন বিধান বা শরীয়াত দেওয়া হয় নাই। তাঁহারা তাওরাত কিতাবের বিধান মানিতেন এবং উহা দ্বারাই ফয়সালা করিতেন। প্রকৃতপক্ষে নবী প্রধানতঃ দুই প্রকার হইয়া থাকেনঃ এক— শরীয়াতওয়ালা নবী যাহাকে কিতাব (বিধান বা শরীয়াত) দেওয়া হয়, এবং দুই— যাঁহাদিগকে কোন কিতাব বা শরীয়াত দেওয়া হয় না, তাঁহারা শরীয়াতধারী নবীদের অনুসরণ করেন। তাঁহাদের বেলায় “যাহাদিগকে কিতাব দিয়াছিলাম” এই কথার অর্থ হইল, তাঁহাদিগকে কিতাবের জ্ঞান। দান করা হইয়াছিল অথবা তাঁহারা ঐ কিতাব উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন অথবা তাঁহাদের পূর্ববতী শরীয়াতবাহী নবীর বিধানের বা শরীয়াতের অধিকারী হইয়াছিলেন।