৮১৭

‘জা’আলা’ শব্দ কোন কোন সময় ‘খালাকা’ শব্দের সমার্থক রূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে (যাহার অর্থ তিনি সৃষ্টি করিয়াছিলেন); কিন্তু দ্বিতীয় শব্দ যখন কোন বস্তু পরিমিত ভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী সৃষ্টি করার ভাব প্রকাশ করে, তখন প্রথমোক্ত শব্দ কোন জিনিষের বিশেষ অবস্থা বা পরিবেশ, অথবা ইহা গঠিত করা বা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে নিযুক্ত করা বুঝায় (লেইন)। পৌত্তলিকতার বুনিয়াদ মনে হয় দুইটি মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। হিন্দুরা এই মতবাদের প্রধান সমর্থক, তাহাদের মতে ঈশ্বর তাঁহার ক্ষমতা অন্য কতকগুলি সত্ত্বাতে অর্পণ করিয়াছেন। জর-থুস্ত্রীয়গণ দুই খোদায় বিশ্বাস করেঃ অহূরমুজদ—আলোর খোদা এবং আহ্‌রিমন্‌— অন্ধকারের খোদা। আলোচ্য আয়াত উক্ত উভয় মতবাদই খণ্ডন করে এবং ঘোষণা করে যে, আল্লাহ্‌তা’লা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই আলো এবং অন্ধকার সৃষ্টি করিয়াছেন, এবং যেহেতু সকল শক্তি এবং সকল প্রশংসা তাঁহারই, অতএব, তাহার কি প্রয়োজন যে, তিনি অন্যের উপর ক্ষমতা অর্পণ এবং কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব প্রদান করিবেন?