৮০৪

দোলনায় থাকিতে কথা বলা দ্বারা ইহাই বুঝায় যে ঈসা (আঃ) অল্প বয়সেই বুদ্ধিমত্তার সহিত জ্ঞান ও পূণ্যের কথা বলিতেন। এইরূপ অর্থপূর্ণ ও পুণ্যময় কথাবার্তা বলার মধ্যে তাঁহার মাতার অবদান প্রতিফলিত হইত। কারণ তাঁহার সাধ্বী, জ্ঞানী ও ধর্মপরায়ণা মাতা যে তাঁহাকে কত যত্ন সহকারে সুশিক্ষার মাধ্যমে লালনপালন করিয়াছিলেন, তাহা বালক ঈসার কথাবার্তা ও আচরণে প্রকাশ পাইত। মধ্যবয়সে ভাল ভাল কথা বলার দ্বারা বুঝা যায়, কেবল মাতা মরিয়মই যে ধর্মভীরু, পবিত্রা মহিলা ছিলেন তাহাই নহে, বরং ঈসাও স্বয়ং একজন পবিত্র ও ধার্মিক পুরুষ ছিলেন। কেননা, মধ্যম বয়সে যখন তিনি মাতার সরাসরি প্রভাবের আওতা হইত সম্পূর্ণ মুক্ত ছিলেন, তখনও তিনি জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিদীপ্ত পবিত্র কথা-বার্তাই বলিতেন। ৪১৮ টীকা দেখুন।