মহানবী (সাঃ)-এর যমানায় একটি ঘটনা ঘটিয়াছিল, যাহা অত্র আয়াত ও পরবর্তী দুইটি আয়াতের উপর আলোক সম্পাত করে। একজন মুসলমান নিজ ভূমি হইতে বহুদূরে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই খৃষ্টান-ভ্রাতা, তামীমদারী ও আদীর কাছে, তাহার মাল-পত্র জমা রাখিয়া তাহাদিগকে বলিলেন,ঐ জিনিষ পত্রগুলি যেন তাহারা মদীনায় অবস্থানরত তাহার উত্তরাধিকারীগণের নিকট পৌঁছাইয়া দেয়। মালামাল গ্রহণ করার পর উত্তরাধিকারীরা দেখিল যে, একটি রৌপ্যনির্মিত বাটী কম আছে। খৃষ্টান ভ্রাতৃদ্বয়কে ঐ রৌপ্য-বাটীর কথা জিজ্ঞাসা করাতে শপথ-পূর্বক তাহারা ঐ বিষয়ে নিজেদের অজ্ঞতা প্রকাশ করিল। পরবর্তীতে উত্তরাধিকারীরা ঐ রূপার বাটী মক্কাবাসীদের হাতে দেখিয়া, অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিল যে, ঐ দুই ব্যক্তি যাহারা মাল আমানত রাখিয়াছিল, তাহারাই রূপার বাটিটা বিক্রয় করিয়া দিয়াছিল। সুতরাং ঐ দুইব্যক্তিকে পুনরায় মদীনায় ডাকিয়া পাঠানো হইল৷ তাহারা উপস্থিত হইলে, উত্তরাধিকারীরা তাহাদের উপস্থিতিতেই শপথ করিয়া বলিল, ঐ রূপার বাটী তাহাদের নিজের। অতপর, ঐ বাটী উত্তরাধিকারীগণের কাছে প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা করা হইল (মনসুর)।