৭৮৭

এই বাক্যটি কেবল মহানবী (সাঃ)-এর সময়ের জন্য প্রযোজ্য। খৃষ্টানদের এই সদ্ভাব চিরস্থায়ী থাকিবার কথা ছিল না। কুরআন অন্যস্থলে মুসলমানকে সতর্ক করিয়া দিয়াছে যে, এক সময়ে খৃষ্টানেরা তাহাদিগকে চতুর্দিক হইতে আক্রমণ করিবে এবং মুসলমানেরা তাহাদের হাতে সর্বাপেক্ষা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হইবে (২১ঃ৯৭)। হাদীসের মধ্যেও এইরূপ ভবিষ্যদ্বাণী রহিয়াছে। ইতিহাস এই অর্থ ও ব্যাখ্যার সত্যতার সাক্ষী হইয়া আছে। আবিসিনীয়ার খৃষ্টান বাদশা নাজ্জাশী মুসলমান মুহাজিরদিগকে আশ্রয় দিয়াছিলেন। মিশরের খৃষ্টান শাসনকর্তা নবী করীম (সাঃ)-কে উপঢৌকন পাঠাইয়াছিলেন। বিনয় ছিল সেই সময়ের খৃষ্টানদের এক অমূল্য ভূষণ। নবী করীম (সাঃ)-এর প্রেরিত পত্র রোমের খৃষ্টান সম্রাট হিরাক্লিয়াস কি ভাবে সম্মানের সহিত গ্রহণ করিয়া উহা হস্তীদন্ত নির্মিত কাস্কেটে সংরক্ষণ করিয়াছিলেন এবং একই ভাবে লিখিত নবী করীম (সাঃ)-এর পত্র পৌত্তলিক পারস্য সম্রাট (খসরূ) কিভাবে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করিয়াছিল, তাহা তুলনা করিলেই খৃষ্টানদের সেই কালের মানসিক উৎকর্ষ পরিস্ফুট হইয়া উঠে।