এই আয়াত এমন কোন জাগতিক বস্তুর কথা বলিতেছে না যাহা ভোগ করা পূর্বে ইহুদীদের জন্য অনুমোদিত ছিল, পরে নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। কেননা, মূসা (আঃ)-এর পরে তাহাদের মধ্যে এমন কোন শরীয়তবাহী নবী আসেন নাই যিনি তওরাতের অনুমোদিত বস্তু তাহাদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারেন। বরং ইহা এই কথা বলিতেছে যে, তাহারা আধ্যাত্মিক ও ঐশী অনুগ্রহরাজি হইতে বঞ্চিত হইয়া পড়িয়াছে। ঈসা (আঃ) ইহুদীদের এই আধ্যাত্মিকভাবে বঞ্চিত হওয়ার কথা স্বরণ করাইয়াই বলিয়াছিলেন, “এবং এই জন্য (আসিয়াছি) যেন আমি তোমাদের জন্য হালাল করি কতক বস্তুকে যাহা পূর্বে তোমাদের উপরে হারাম করা হইয়াছিল (৩ঃ৫১)-অর্থাৎ তোমাদের অপকর্মের দোষে, যে সব ঐশী অনুগ্রহরাজি হইতে তোমরা বঞ্চিত হইয়াছ, সেইগুলির কতক তোমাদের মধ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিতে আমি আসিয়াছি।