একজন স্বাধীনা বিবাহিতা মহিলাকে, স্বামীর বর্তমানে, অন্য কেহ বিবাহ করিতে পারে না। কিন্তু যে স্ত্রীলোক ইসলাম ও মুসলমানের ধ্বংসকারী যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া বন্দী হইয়াছে এবং স্বপক্ষের লোক তাহাকে মুক্ত করিতে আসে নাই, সেই বন্দিনী দাসীর ক্ষেত্রে, স্বাধীনা বিবাহিতা মহিলার আইন প্রযোজ্য হইবে না। স্বামী বা স্বজাতি তাহাকে মুক্ত না করায়, সে এখন সহায়-সম্বলহীন, তাহাকে বিবাহ দিয়া স্বামী ও সম্বল দান করা কর্তব্য। এই কারণে তাহাকে বিবাহ করিতে তাহার পূর্বস্বামীও তাহার সম্মতি ইত্যাদি বিবেচনার প্রয়োজন নাই। “মা মালাকাত আইমানুকুম” এর তাৎপর্য এতটুকুই। এই যুদ্ধ-বন্দিনী মহিলারা যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং পূর্বের অমুসলমান স্বামীর কাছে যাইতে না চায়, তাহা হইলে মুসলমানের সাথে তাহাদের বিবাহ হইতে পরে। ৫৬১ টীকা দেখুন।