৪৯৩

‘মৃত্যু’ এখানে যুদ্ধকে বুঝাইতেছে, কেননা যুদ্ধের পরিণতিতে অনেক মৃত্যু ঘটিয়া থাকে। আর মুসলমানের জন্য তো যুদ্ধ ও মৃত্যু প্রায় সমার্থক ছিল। কারণ শত্রুর শক্তি-সামর্থ্যের তুলনায় তখন মুসলমানের সংখ্যা ছিল অল্প, অস্ত্র-সস্ত্র ছিল স্বল্প ও সীমিত, আর যোদ্ধারা ছিল বালক, বৃদ্ধ ও যুবকের এক অসম সমাবেশ। এই সব দুর্বলতা নিয়া শক্তিশালী, সংখ্যাধিক, ঝানু অবিশ্বাসী শত্রুযোদ্ধার মোকাবিলা করা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা ধরার শামিল ছিল। উহুদের যুদ্ধের সময়, মহানবী (সাঃ) মদীনায় থাকিয়া যুদ্ধ করার প্রস্তাব করিয়াছিলেন। কিন্তু সাহাবীরা, বিশেষ করিয়া ঐ সব সাহাবী যাহারা বদরের যুদ্ধে যাইতে পারেন নাই, তাহারা বলিলেন, “আমরা এমন একটি দিনেরই অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা বাহিরে যাইয়া যুদ্ধ করিতে চাই, নতুবা তাহারা মনে করিবে আমরা মৃত্যু ভয়ে ভীত” (যুরকানী, ২২)। মুসলমানদের এই ইচ্ছা-প্রকাশকে, এই আয়াতে “তোমরা এই মৃত্যুর কামনা ইহার সম্মুখীন হওয়ার পূর্বেই করিয়াছিলে” বলিয়া ব্যক্ত করা হইয়াছে।