৪৩৩-খ

এই আয়াতটি যদিও অন্যান্য নবীগণের উপর সাধারণভাবে প্রযোজ্য, তথাপি ইহা রসূলে পাক (সাঃ)-এর উপর বিশেষভাবে প্রযোজ্য। উভয় প্রয়োগই শুদ্ধ। আয়াতটি একটি সাধারণ নিয়ম বাতলাইয়া দিয়াছে। প্রত্যেক নবীর আগমনের দ্বারা পূর্ববর্তী নবী তাহার শিষ্যগণকে এই শিক্ষা দিয়া যান যে, পরবর্তী সময়ে যে নবী আসিবেন তাহাকে যেন তাহারা অবশ্য-অবশ্য গ্রহণ করে ও মানিয়া লয়। যদি একটি মাত্র জাতির ধর্ম-পুস্তকের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করিয়া কোন নবী আসেন, যেমন ঈসা ও অন্যান্য ইসরাঈলী নবী (আঃ) আসিয়াছিলেন, তাহা হইলে কেবল মাত্র ঐ জাতির জন্য তাহাকে মানিয়া লওয়া ও সাহায্য করা বাধ্যকর। কিন্তু সকল জাতির সকল ধর্মগ্রন্থ যদি একজন নবীর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করে, যেমনটা মহানবী (সাঃ)-এর ক্ষেত্রে করা হইয়াছিল, তাহা হইলে সেই নবীকে গ্রহণ করা ও সাহায্য করা সকল জাতির জন্যই বাধ্যকর। আঁ-হযরত (সাঃ) কেবলমাত্র ইসরাঈলের নবীগণের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করিয়াছেন, (যিশাইয়-২১ঃ১৩-১৫, দ্বিতীয় ১৮ঃ১৮; ৩৩ঃ২; যোহন- ১৪ঃ২৫, ২৬, ১৬ঃ৭-১৩) তাহাই নহে, বরং আর্য্য-মুনিদের, বৌদ্ধ ও যরথুস্ত্রী ধর্মনেতাদের বহু ভবিষ্যদ্বাণী তাঁহারই (সাঃ) আগমনের মাধ্যমে পূর্ণ হইয়াছে (শাফরাং দাসাতির, পৃঃ ১৮৮ শিরাজী প্রেস, দিল্লী জামাস্পি, প্রকাশক নিজামুল মুশায়েখ, দিল্লী ১৩৩০ হিজরী)।