‘আল্লাহ্ উহা সর্বাপেক্ষা অধিক জানিতেন যাহা সে প্রসব করিয়াছিল’- এই অন্তর্বর্তী বাক্যটি আল্লাহ্র স্বীয় বাক্য, তবে, ‘(তাহার কাম্য) পুত্র সন্তান (এই প্রসূত) কন্যা সন্তানের সমতুল্য নহে’ এই বাক্যটি স্বয়ং আল্লাহ্র কথাও হইতে পারে কিংবা মরিয়মের মাতার কথাও হইতে পারে। যদি ইহা আল্লাহ্র কথা হইয়া থাকে (উহারই সম্ভাবনা বেশী) তাহা হইলে ইহার অর্থ হইবে এই যে, যে কন্যা-সন্তান জন্ম নিয়াছে, সে ঈপ্সিত পুত্র সন্তান হইতে অনেক ভাল হইবে। আর যদি বাক্যটি মরিয়মের মাতার মৃখ-নিসৃত বাক্য বলিয়া মানিয়া লওয়া হয়, তাহা হইলে ইহার অর্থ হইবে যে কন্যা-সন্তান জন্ম গ্রহণ করিয়াছে, সে তো উৎসর্গ-উপযোগী ঈপ্সিত পুত্রের মত হইতে পারে না, কেননা পুত্র সন্তান ছাড়া কন্যা সন্তান তো ঐ ধর্মব্রতে নিয়োজিত হওয়ার উপযুক্ত ও যথাযোগ্য হইতে পারে না। ‘আমি (মরিয়মের মাতা) তাহার নাম মরিয়ম রাখিয়াছি’ বাক্যটির মধ্যে একটি প্রচ্ছন্ন দোয়া রহিয়াছে যে, আল্লাহ্ যেন ঐ কন্যা-সন্তানটিকে ‘মরিয়ম’ নামোপযোগী গুণাবলীতে ভূষিত করেন, মর্যাদাশীলা, পবিত্র ও সৎকর্মশীলা করেন। হিব্রুতে মরিয়ম নামের একটি অর্থ হইল মর্যাদাসম্পন্না, ধর্মভীরু, উপাসনাকারিণী।