৩৯৯

‘ইমরান’ নামটি দুই ব্যক্তির প্রতিই আরোপ করা যাইতে পারেঃ (১) ‘আম্‌রান’, যাহাকে বাইবেলে কোহাথের পুত্র ও লেভীর পৌত্র রূপে উল্লেখ করা হইয়াছে। তিনি হযরত মূসা, হারুন (আঃ) ও মরিয়মের পিতা ছিলেন। মুসা (আঃ) ছিলেন তাঁহার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান (জিউ, এনসাই, আমরান শীর্ষক, যাত্রা পুস্তক – ৬ঃ১৮-২২); (২) যীশুর মাতা মরিয়মের পিতা ‘ইম্‌রান’ অর্থাৎ যীশুর নানা। এই ইম্‌রান হইলেন যশ্‌শীম বা যশীমের পুত্র (জরীর এবং কাসীর)। কুরআন এই নামটি ব্যবহার করিয়াছে দুইটি উদ্দেশ্যেঃ (১) মূসা (আঃ) ছাড়াও হারূণ (আঃ) কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, এবং (২) মরিয়মের কাহিনী ও তাঁহার মাধ্যমে তৎপুত্র যীশুর কাহিনী বর্ণনার পূর্বাভাষ স্বরূপ। ইম্‌রান নামটির ৩৬ আয়াতে পুনরুল্লেখও এই দুইটি উদ্দেশ্যের প্রতিই ইঙ্গিত করে। ইহা তাৎপর্যপূর্ণ যে, আদম (আঃ) ও নূহ (আঃ) কে উল্লেখ করা হইয়াছে এক একজন ব্যক্তিরূপে। ইব্‌রাহীম (আঃ) ও ইমরানকে উল্লেখ করা হইয়াছে পরিবারের কর্তা হিসাবে। ইহা এই কারণে করা হইয়াছে, শেষোক্ত নাম দুইটির মধ্যে তাঁহাদের বংশের উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত হইয়া যান। এইভাবে, ইব্‌রাহীমের পরিবার কেবল ইব্‌রাহীমকেই বুঝায় না বরং তাঁহার পুত্র-পৌত্রকেও বুঝায়, যেমন ইসমাঈল, ইস্‌হাক, ইয়াকুব ও ইউসুফ। ইহা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কেও অন্তর্ভুক্ত করিতে পারে, যিনি ইব্রাহীম (আঃ) -এর বংশের মধ্য হইতে উদ্ভূত। একইভাবে, ‘ইমরানের পরিবার’ বলিতে হারূণ, মূসা ও ঈসাকে (আঃ) বুঝাইয়াছে, ইমরানকে অবশ্য বুঝায় নাই, কেননা তিনি নবী ছিলেন না।