৩৮১

এই আয়াতে সত্যিকার মো’মেনের চারিটি বিশেষ চিহ্ন উল্লেখিত হইয়াছে, যাহা তাহার আধ্যাত্মিক উন্নতির চারটি স্তরকে প্রকাশ করে। (১) যখন কোন ব্যক্তি ‘সত্য-বিশ্বাস’ প্রথম গ্রহণ করে, তখন সাধারণতঃ তাহার উপর অত্যাচার করা হয়। অতএব, এই প্রথম অবস্থায় তাহাকে “ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের” স্তর পার হইতে হয়। (২) অত্যাচার যখন নির্ব্বাপিত হয় এবং সে স্বাধীন ভাবে কর্ম করার সুযোগ প্রাপ্ত হয়, তখন সে ধর্মীয় শিক্ষাগুলিকে বাস্তবে রূপায়িত করিতে থাকে, যাহা সে পূর্বে পূর্ণভাবে সম্পাদন করিতে পারে নাই। এই অবস্থাকে বলা হয় “সত্যভাবে জীবন-যাপন” অর্থাৎ বিশ্বাস অনুযায়ী জীবন-ধারণ। (৩) যখন ঈমান সম্পর্কীত বিধি-নিষেধ সততার সহিত পালনের মাধ্যমে মো’মেন স্বীয় হৃদয়ে শক্তি সঞ্চয় করে, তখনও তাহার নম্রতা ও বিনয়, তাহার মধ্যে সমভাবে বিদ্যমান থাকে। শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তাহার আত্মা সর্বদা বিনয়াবনতই থাকে। (৪) অতঃপর, সেবার প্রেরণা মো’মেনদের মাঝে প্রবলাকারে বৃদ্ধি পায়। তাহারা আল্লাহ্- প্রদত্ত সবকিছু মানব-কল্যাণে ব্যয় করেন। কিন্তু, এই আয়াতের শেষাংশটি বলিতেছে যে, উপরোক্ত চারিটি কাজে ব্যাপৃত থাকাকালীন, তাহারা সর্বদা নিশীথে আল্লাহ্‌র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে থাকেন, যাহাতে তাহাদের কর্তব্য-কর্মে ও মানব-সেবাব্রতে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকিলে তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেওয়া হয়।