‘রিবা’র শাব্দিক অর্থ হইল ‘অতিরিক্ত কিছু বা সংযোজিত কিছু’; টাকার ক্ষেত্রে, মূল অর্থের উপরে কিছু সংযোজন (মুফরাদাত,লেইন)। অর্থনীতির ক্ষেত্রে, চক্রবৃদ্ধি সুদ ও সাধারণ সুদ উভয়ই রিবার অন্তর্গত। হাদীসের দ্বারা বুঝা যায়, ‘নির্দিষ্ট লাভের উদ্দেশ্যে ঋণ-দান’ ‘রিবা’র আওতায় পড়ে। তবে ‘রিবা’র গৃঢ় অর্থ, ‘সুদ’-এর সাথে একেবারে এক, তাহা নহে। ‘রিবা’ অর্থ পূর্ণভাবে প্রকাশ করিতে পারে এমন শব্দের অভাবে, ‘সুদ’ শব্দকেই মোটামুটি ও কাছাকাছি অনুবাদ হিসাবে গ্রহণ করা যায়। যে পরিমাণ টাকা, মূল ঋণের অতিরিক্ত দেওয়া হয় বা নেওয়া হয়, তাহাই ‘সুদ’। এই কারবার ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে হউক, ব্যাঙ্কের সাথে হউক, সংস্থার সাথে হউক, পোষ্টাফিসের সাথে হউক, তাহাতে কিছু আসে যায় না। সুদ কেবল টাকা কড়ি আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যে কোনও সামগ্রী যদি ঋণ স্বরূপ এইরূপ শর্তে দান করা হয় যে, পরিশোধের সময় একটি পূর্ব-নির্ধারিত পরিমাণ অতিরিক্ত সামগ্রী পরিশোধ করিতে হইবে, ইহাও ‘রিবার’ সংজ্ঞাভুক্ত।