আল্লাহ্তা’লাকে পূর্ববর্তী আয়াতে ‘সামাদ’ (স্বাধীন, সর্বাধিপতি, স্বনির্ভর এবং অন্য সবকিছুরই ভরসাস্থল) বলা হইয়াছে। এই গুণটি তাহার একত্বকে বা ‘আহাদ’ হওয়াকে প্রতিপন্ন করে। এই আয়াতে বলা হইয়াছে ‘তিনি জন্মদান করেন না, জন্মগ্রহণও করেন নাই’ ইহাতে তিনি যে ‘সামাদ’ (প্রয়োজনের উর্দ্ধে), উহাই প্রতিপন্ন হয়। কেননা, যে প্রয়োজনের অধীন, সে অপরের সাহায্য ব্যতিরেকে স্বীয় প্রয়োজন মিটাইতে সক্ষম নহে এবং তাহার আরদ্ধ কার্য সম্পন্ন করার জন্য তাহার মৃত্যুর পরও কেহ তাহার কাজ চালাইয়া যাওয়ার জন্য থাকা আবশ্যক। স্বাভাবিকভাবেই, যাহারা জন্ম নেয় ও জন্ম দেয়, তাহারা মৃত্যুর অধীন ও প্রয়োজনের অধীন। আল্লাহ্ কাহারও স্থলবতী উত্তরাধিকারীরূপে আসেন নাই এবং কেহ তাহার উত্তরাধিকারী হইবে না। সর্বগুণে তিনি পরিপূর্ণভাবে গুণান্বিত, চিরস্থায়ী, চির-বিরাজমান, একচ্ছত্র অধিপতি তিনি।