‘লায়্ল’ এবং ‘লায়্লাহ’ দুইটি শব্দই সাধারণভাবে রাত্রি অর্থে ব্যবহৃত হয় বিখ্যাত অভিধান-বিশারদ মারযুকীর মতে ‘লায়্ল’ হইল দিনের (নাহারের) বিপরীত শব্দ। আল্ ‘লায়্লাহ’ হইল রাত্রিকাল যাহা দিবাকালের বিপরীত শব্দ। ‘লায়লাহ্’ বলিতে বিস্তীর্ণ সময়কে বুঝায়, যেমন ‘ইয়াওম’ বলিতে বিস্তীর্ণ সময়কে বুঝাইয়া থাকে। ‘লায়্ল’ ও ‘নাহার’ শব্দের মধ্যে তেমন ব্যাপকতা নাই। কুরআনে ‘লায়্লাহ’ শব্দটি আটবার ব্যবহৃত হইয়াছে (২ঃ৫২; ২ঃ১৮৮, ৪৪ঃ৪; ৭ঃ১৪৩ এ দুইবার, আলোচ্য আয়াতে তিনবার) এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ইহা কুরআনের নুযুল বা অবতরণ সম্পর্কিত কিংবা তদনুরূপ বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হইয়া ব্যবহৃত হইয়াছে। অতএব, এই শব্দটি কুরআন নাযিলের রাত্রিসমূহের উচ্চতম মর্যাদা, মহিমা ও মাহাত্ম্য ঘোষণা করিতেছে।