নবী করীম (সাঃ)-কে সান্ত্বনা ও নিশ্চয়তা দেওয়া হইতেছে যে, তাহার সম্মুখে আধ্যাত্মিক উন্নতির সীমাহীন পথ উন্মুক্ত রহিয়াছে। অতএব উপস্থিত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া কৃতকার্য হইয়াই তিনি যেন সন্তুষ্ট না হন, বরং এক চূড়া অতিক্রম করার পর, অপর চূড়ায় আরোহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন এবং এইভাবে শৃঙ্গ অতিক্রম করিতে থাকেন। কেননা পতিত মানবজাতিকে সুসভ্য জাগ্রত জনমানবে পরিণত করিতে হইলে এবং বিশ্বে আল্লাহ্র রাজত্ব কায়েম করিতে হইলে, সর্বকালীন প্রচেষ্টার প্রয়োজন, তাহাতে বিরামের সুযোগ কোথায়? আয়াতটির অন্য অর্থ ইহাও হইতে পারেঃ শিষ্যগণের শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ দানের কর্তব্য সমাপনান্তে এবং দৈনন্দিন জাগতিক কার্যাদি সম্পাদনের পর, তিনি যেন রাতভর সর্বান্তঃকরণে আল্লাহ্র দিকে চিত্ত নিবিষ্ট করেন, কেননা তাঁহার আধ্যাত্মিক ভ্রমণ পথের কোন সীমা-পরিসীমা নাই।