মহানবী (সাঃ)-ও মানুষ ছিলেন। তাই ভুলিয়া যাওয়া তাঁহার পক্ষে অসম্ভব কিছু ছিল না। বস্তুতঃ পার্থিব কোন কোন বিষয়ে হয়ত তাঁহার মনে থাকিত না। কিন্তু আল্লাহ্তা’লার অমোঘ প্রজ্ঞা এমনই ব্যবস্থা করিয়াছিল যে, মহানবী (সাঃ) নিরক্ষর হওয়া সত্বেও এবং সময় সময় সুদীর্ঘ সূরা একাধারে সামগ্রিকভাবে অবতীর্ণ হওয়া সত্বেও, তাহা তাহার পবিত্র হৃদয়ে যেন গভীরভাবে খোদাই হইয়া যাইত যে, তাহা আরত্তি করিতে কোনকালেই তাঁহাকে ভুল করিতে বা ইতস্ততঃ করিতে দেখা যায় নাই। ইহা অতীব আশ্চর্যের ব্যাপার যে, সূরা বাকারা, আলে ইমরান, নিসা ইত্যাদির মত দীর্ঘ সূরাগুলি খণ্ড খণ্ড আকারে অবতীর্ণ হওয়া সত্বেও এবং একাংশ অবতীর্ণ হইবার দীর্ঘ সময় পরে অপরাংশ অবতীর্ণ হইলেও, এইগুলিকে সঠিক স্থানে সংযোজন করিতে তাহার মূহুর্ত মাত্র সময় লাগিত না, দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া তো দূরের কথা। ইহা এমনই এক জাজ্বল্যমান সত্য যে, কুরআনের শক্র-শিবিরের সমালোচকেরাও এই কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করিয়াছেন।