যে সকল প্রস্রবণ বিশ্বাসীগণ নিজের কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহা হইতে তাহারা পেয়ালা ভরিয়া পান করিবেন। ‘তফ্জীর’ শব্দটি কঠোর পরিশ্রমের (সাধনা) প্রতি ইঙ্গিত করিতেছে। যেসব সৎকর্ম তাহারা ইহলোকে থাকা কালীন সময়ে সম্পাদন করিয়াছে, তাহা পরকালে গ্রস্রবণের মত প্রবাহিত হইয়া তাহাদের মনোরঞ্জন করিবে ও তৃষ্ণা মিটাইবে। ইহা আধ্যাত্মিক ক্রমোন্নতির প্রথম স্তর, যাহা অবিরাম, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মো’মেনগণ অর্জন করিয়া থাকেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ কঠোর প্রচেষ্টা ও সাধনার দ্বারা স্বীয় রিপুসমূহকে বশীভূত করিতে পারিবে, ততক্ষণ তাহার পক্ষে কোন আধ্যাত্মিক স্তরে উন্নীত হওয়া সম্ভব নহে। এই আয়াতে বর্ণিত ‘প্রস্রবণ’ আর কিছুই নহে, ইহা আল্লাহ্তা’লার ভালবাসা ও ঐশী উপলব্ধির ‘প্রস্রবণ’।