প্রাকৃতিক জগতে যে সব বস্তুনিচয়কে আমরা ক্রিয়াশীল অবস্থায় দেখিতে পাই (অর্থাৎ জীবনে যাহা কিছু আমরা চোখে দেখিতে পাই) এবং যাহা কিছু আমরা চোখে দেখিতে পাই না (অর্থাৎ মানবিক বুদ্ধি, যুক্তি, বিবেক ইত্যাদি), ৩৯-৪০ আয়াতে ঐগুলিকে প্রমাণ ও সাক্ষীরূপে পেশ করিয়া, কুরআন ঐশী উৎস হইতে অবতীর্ণ বলিয়া স্বীয় দাবী উত্থাপন করিয়াছে। আয়াতগুলির অন্য অর্থ ইহাও হইতে পারে যে, সকল বড় বড় ঐশী নিদর্শনাবলী মহানবী (সাঃ)-এর সময়কার কাফেরগণ তাহাদের স্বচক্ষে দেখিয়াছিল এবং ইসলামের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে যে সকল সুস্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় তাহাদের সমক্ষে উপস্থাপিত ছিল, সেগুলিই ছিল অপ্রতিরোধ্য যুক্তি যে কুরআন আল্লাহ্তা’লার স্বীয় বাক্য যাহা তিনি তাঁহার সুমহান নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে অবতীর্ণ করিয়াছেন। ইহা জীবনের কঠোর সত্যগুলিকে মানুষের সম্মুখে তুলিয়া ধরিয়াছে, ইহা কবির কল্পনা-বিলাস বা স্বাপ্নিকের স্বপ্ন নহে। ইহা ভবিষ্যদ্বক্তা গণকের অন্ধকারে হাতড়ানোও নহে।