সারা প্রকৃতি ব্যাপিয়া জীবন ও মৃত্যুর নিয়ম ক্রিয়াশীল রহিয়াছে। প্রত্যেকটি প্রাণী জরা ও মৃত্যুর অধীন। এই আয়াতে এবং ২ঃ২৯ ও ৫৩ঃ৪৫ আয়াতদ্বয়ে ‘মৃত্যুর’ কথা ‘জীবন’ শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হইয়াছে। এর কারণ মনে হয় ইহাই যে, মৃতাবস্থা বা অনস্তিত্বই জীবনের পূর্বাবস্থা। আরেক কারণ ইহাও হইতে পারে যে, জীবন হইতে মৃত্যু অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা মৃত্যু মানুষকে অনন্ত জীবনের পথে লইয়া যায় ও সীমাহীন আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ সুগম করিয়া দেয়। আর এই পার্থিব জীবন পান্থশালায় সাময়িক বিশ্রামের মত। কবরের ওপারে যে অনন্ত চিরস্থায়ী জীবন সেই অনন্ত জীবনের জন্য এখানে, এই মর-জগতে, প্রস্তুতি নিতে হয় মাত্র।