কাফেরদিগকে নূহ্ (আঃ)-এর স্ত্রী ও লুত (আঃ)-এর স্ত্রীর সহিত সম-পর্যায়ে ফেলিয়া তুলনা করা হইয়াছে এবং দেখানো হইয়াছে যে, দুষ্ট প্রকৃতির লোক, যাহারা সত্যকে অস্বীকার করিতে বদ্ধ পরিকর হয়, তাহারা উচ্চ পর্যায়ের ধার্মিক লোকদের সাহচর্য পাইয়াও এমনকি নবীর সাহচর্যে থাকিয়াও কোন ফায়দা হাসিল করিতে পারে না। ফেরআউনের স্ত্রী ঐ সকল মো’মেনের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতীক স্বরূপ যাহারা পাপ হইতে নিষ্কৃতি লাভের একান্ত বাসনা পোষণ করে ও আকুতি জানায়, এমনকি তিরস্কারকারী আত্মার অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াও সময় সময় পদস্থলিত হইয়া পড়ে। ঈসা (আঃ)-এর মাতা আল্লাহ্তা’লার ঐ সকল পুণ্যাত্মা বান্দাগণের প্রতীক যাহারা নিজেদের উপরে পাপের সকল দরজা বন্ধ করিয়া আল্লাহ্র সহিত শান্তি-সন্ধি স্থাপন করে ও আল্লাহ্ হইতে ঐশী প্রেরণা লাভ করে। এখানে ‘ফিহি’র ‘হি’ বলিতে সৌভাগ্যশালী মো’মেনকে বুঝাইয়াছে। অথবা ‘হি’ শব্দটি ‘ফার্জ’ এর সর্বনামরূপে আসিয়াছে। ‘ফার্জ’ এর অর্থ হইল ‘ফাটল, ফাঁক’ যাহার মধ্য দিয়া পাপ প্রবেশ করিতে পারে।