৩০৫৩

একবার এক অভিযানের সময়ে, (সম্ভবতঃ বনু মুস্তালিকদের বিরুদ্ধে), মদীনার মোনাফেকদের সর্দার আবদুল্লাহ্ বিন উবাই বলিল যে, মদীনায় ফিরিয়া যাইয়া (তাহার মতে) সে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত মদীনাবাসী (অর্থাৎ সে নিজে) সর্বাপেক্ষা হীন অধিবাসীকে (অর্থাৎ মহানবী (সাঃ)-কে) মদীনা হইতে তাড়াইয়া দিবে। নবী করীম (সাঃ)-এর উপর আব্দুল্লাহ বিন উবাই বড়ই চটা ছিল। কারণ এই দুষ্ট ব্যক্তির উচ্চাভিলাষ ছিল যে, সে মদীনার প্রধানতম সর্দার হইবে। কিন্তু মহানবী (সাঃ)-এর মদীনায় হিজরতের কারণে, এই মহান ব্যক্তিত্বের (সাঃ) সামনে উচ্চাভিলাষ ভুলুণ্ঠিত হইয়া গেল। তাহার এই আশা-ভঙ্গের জন্য সে মনে মনে মহানবী (সাঃ)-কেই দায়ী মনে করিত। অপরদিকে আব্দুল্লাহ বিন উবাইর পুত্র ছিলেন আত্মনিবেদিত মুসলমান। তিনি তাঁহার পিতার এই বেয়াদবীপূর্ণ দম্ভোক্তি শুনিয়া এতই রুষ্ট হইলেন যে, তিনি খোলা তরবারী হাতে মদীনা-প্রবেশের পথ রুখিয়া দাঁড়াইলন এবং পিতা যে পর্যন্ত একথা স্পষ্টভাবে স্বীকার না করিল যে, সে-ই স্বয়ং মদীনার সর্বপেক্ষা ঘৃণিত ব্যক্তি এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদীনার সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ব্যক্তি সে পর্যন্ত তিনি পথ ছাড়িলেন না। এইভাবে, আব্দুল্লাহ্ বিন উবাই বিন সলুলের অহংকার ও আত্মম্ভরিতা তাহার মাথায় বজ্রের মত নিপতিত হইল।