‘আরয’ মানে মূল্য ও ব্যাপকতা। এই হিসাবে আয়াতটির তাৎপর্য হইলঃ (ক) পরলোকে ধর্মপরায়ণদের পুরস্কার অপরিসীম ও অগণিত। আকাশমালা, পৃথিবী এবং সমস্ত স্থান, শূন্য-মহাশূন্য জুড়িয়া বিস্তৃত রহিয়াছে বেহেশত, এমনকি দোযখও ইহারই আওতাভুক্ত। ইহা দ্বারা বুঝা যায় যে, বেহেশ্ত ও দোযখ দুইটা পৃথক স্থান বিশেষ নয়, বরং মনের দুইটা পৃথক পৃথক অবস্থা। কুরআনের বর্ণিত বেহেশ্ত-দোযখের স্বরূপ সম্বন্ধে মহানবী (সাঃ)-এর একটি প্রসিদ্ধ হাদীস সঠিক ধারণা দেয়। একবার নবী করীম (সাঃ) সাহাবীগণ কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়াছিলেন, ‘বেহেশ্ত যদি ইহার স্বীয় ব্যাপকতার মধ্যে আকাশমালা ও পৃথিবীকে ছাইয়া ফেলে, তাহা হইলো দোযখের স্থান কোথায়? রসূলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর দিয়াছিলেন, “রাত্রি কোথায় থাকে, যখন দিনের আগমন হয়” (কাসীর)।