মহানবী (সাঃ) মে’রাজের মাধ্যমে আল্লাহ্তা’লার এতই সান্নিধ্যে পৌঁছিয়াছিলেন যে, মানুষ তাহা কল্পনাও করিতে পারে না। এই আয়াতের ইহাও অর্থ হইতে পারে যে, সমুদ্র-প্রমাণ আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও তত্ব-তথ্য এবং সত্যের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার তাঁহার সম্মুখে তুলিয়া ধরা হইল, ‘সাদির’ শব্দটি, যাহার অর্থ সমুদ্র, একই মূল-ধাতু হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, যে মূল-ধাতু হইতে ‘সিদরাত’ উৎপন্ন হইয়াছে (লেইন)। আয়াতটি এই কথাও রূপকাকারে বুঝাইতে পারে যে, কুলগাছের মত, মহানবী (সাঃ)-এর ঐশী লব্ধ জ্ঞান ও শিক্ষামালা আধ্যাত্মিক পথের যাত্রীদের শ্রান্ত-ক্লান্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সবল-সুস্থ রাখিবে। কুলগাছের পাতা মৃতদেহকে যেমন পচন হইতে রক্ষা করে, তেমনি মহানবী (সাঃ)-এর পবিত্র ঐশী শিক্ষা শুধু আপন পবিত্রতাই রক্ষা করিবে না বরং বিশ্ব-মানবকেও পচন ও অপবিত্র হওয়া হইতে রক্ষা করিবে। এমনও হইতে পারে যে, হুদায়বিয়ার সন্ধির পূর্বে মহানবী (সাঃ)-এর হাতে হাত রাখিয়া সাহাবীগণ একটি বৃক্ষের ছায়াতলে তাঁহার প্রতি প্রাণান্ত আনুগত্যের অনন্য সাধারণ শপথ গ্রহণ করিয়াছিলেন। এই শপথের সাথে সাথে এই রক্ষও চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে এবং চিরস্মরণীয় থাকিবেও। এই আয়াতের বৃক্ষটি ভবিষ্যদ্বাণীর আকারে হুদায়বিয়ার ঐ বৃক্ষটিকেও নির্দেশ করিতে পারে।