তবে, যে ক্ষেত্রে স্ত্রী নিজেই স্বামী হইতে বিচ্ছিন্ন ও মুক্ত হইতে চায়, যাহাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘খোলা’ বলা হয়, সেইক্ষেত্রে স্ত্রী তাহা ‘কাজী’ বা বিচারকের মাধ্যমে লাভ করিতে পারে। “উভয়ে আশঙ্কা করে” কথাদ্বারা ন্যায়-অন্যায়ের আশংকা বুঝায় এবং কাজীর মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন। এরূপ ক্ষেত্রে স্ত্রীকে সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিক ভাবে, তাহার মহরানার টাকা ও স্বামীর প্রদত্ত অন্যান্য জিনিসপত্র ছাড়িয়া দিতে হয়, তাহা সমঝোতার মাধ্যমেই হউক অথবা কাজীর ফয়সালার মাধ্যমেই হউক। কায়েস বিন সাবিতের স্ত্রী জামিলার বিবাহ-বিচ্ছেদ খোলার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ। স্বামী কায়েসের উগ্র স্বভাবের কারণে জামিলা, বিবাহ-বিচ্ছেদের খোলার আবেদন জানাইলেন। তিনি বলিলেন যে, স্বামীর সাথে তাহার বনিবনা হইতেছে না, কারণ উভয়ের মন-মেযাজ এতই পার্থক্য যে সামঞ্জস্য বিধান সম্ভব নয়। মহানবী (সাঃ) তাহার খোলার আবেদন মঞ্জুর করিলেন, তবে তাহার স্বামীর প্রদত্ত বাগানটি স্বামীকে ফেরৎ দিতে হইল (বুখারী)।