২৮১১

এই আয়াতের কথোপকথন একটা রূপক বর্ণনা মাত্র, প্রকৃত কথোপকথন নহে, বরং একটা অবস্থার বিবরণ মাত্র। দোযখকে ব্যক্তি কল্পনা করা হইয়াছে এবং উহার অবস্থা বর্ণনার জন্য উহার মুখে ভাষা দেওয়া হইয়াছে। না দোযখের কথা বলার শক্তি আছে, না ইহা কথা বলিবে। এই ভাবে ‘কালা’ (সে বলিল) শব্দ, একই রূপক অর্থে ৪১ঃ১২ আয়াতে ব্যবহৃত হইয়াছে। সেখানে আকাশ ও পৃথিবী বলিতেছে, “আমরা স্বেচ্ছায়ই আসিয়াছি।” অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবী আল্লাহ্‌র আদেশ ও নিয়ম-কানুন স্বেচ্ছায় মানিয়া চলিবে বলিয়া সম্মতি জানাইল। এই সম্মতিজ্ঞাপন আকাশ ও পৃথিবীর অবস্থার বর্ণনা মাত্র, ইহাতে প্রকৃত কোন কথোপকথন নাই। আরবী ভাষার ইহা একটি বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য যে, ইহা প্রাণহীন-ভাষাহীন বস্তুর মুখেও ভাষা তুলিয়া দেয় এবং কথা বলায়। টীকা ৫৭ দেখুন এবং ১৮ঃ৭৮ দেখুন।