২৮০২

এই আয়াত ও পরবর্তী কয়েকটি আয়াতে সৃষ্টির বিস্ময়কর বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হইয়াছে। বিশ্ব-জগতের মাঝে রহিয়াছে একটি অত্যাশ্চর্য সুসামঞ্জস পরিকল্পনা। ইহাতে রহিয়াছে সংখ্যাতীত সুন্দর সুন্দর গ্রহ-তারকা, সুশোভিত আকাশমালা। ইহাতে রহিয়াছে জীব-জন্তু, গাছপালা পাহাড়-পর্বত ও নদ-নদী এবং মানব-জাতি-সম্বলিত এই বিরাট বিস্তীর্ণ পৃথিবী। অতঃপর এই আয়াতগুলি ইঙ্গিতে বুঝাইয়া দিতেছে যে, সৃজনের এই বিচিত্র ও অত্যাশ্চর্য-ভাণ্ডারসমূহ আমদিগকে এই অনিবার্য সিদ্ধান্তে পৌঁছাইয়া দেয় যে, সেই মহামহিম পরম প্রজ্ঞাশীল কুশলী, সেই মহা পরিকল্পনাকারী নির্মাতা ও নিয়ন্ত্রক, যিনি এই বিস্ময়কর বিশ্ব-জগৎ সৃষ্টি করিয়া মানুষকে ইহার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করিয়াছেন, তাঁহার নিশ্চয়ই এই ক্ষমতা রহিয়াছে যে, সব কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন-বিলুপ্ত হওয়ার পরও তিনি উহা পুনরায় সৃষ্টি করিতে পারেন এবং মানুষের মৃত্যুর পরেও তিনি তাহাকে নূতন জীবন দিতে পারেন।