এই সূরার প্রধান বিষয়বস্তু হইল একতা, বন্ধুত্ব, মৈত্রী ও ভালবাসাকে ব্যক্তি-মুসলমানের মাঝে বা দলগত-মুসলমানদের দলগুলির মাঝে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। তাই এই আয়াতে এবং পূর্ববর্তী আয়াতে এমন কয়েকটি সামাজিক কদাচারের উল্লেখ করা হইয়াছে, যাহা অমিল, বিরোধ, মতানৈক্য ও ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটায়। এইগুলি মনে কালিমা সৃষ্টি করে ও মরিচা ধরাইয়া সমাজকে কলুষিত ও পাপাঙ্কিত করিয়া তোলে। ফলে সমাজের জীবনী-শক্তি বিনষ্ট হয়। অতএব, এই সব কদাচারের বিরুদ্ধে হুশিয়ার থাকিতে বলা হইয়াছে। এই কদাচারের মধ্যে রহিয়াছে অন্যের প্রতি হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ, ছিদ্রান্বেষণ, বিকৃত নামে ডাকা, সন্দেহ-প্রবণতা, পরনিন্দা ও পরচর্চায় রত হওয়া প্রভৃতি। এই বিষয়ে, স্ত্রীলোকদিগকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হইয়াছে, কেননা তাহারাই স্বভাবগতভাবে ঐ পথে আগে পা বাড়ায়। এই কুকর্মের অন্তরালে যে মূল কারণ কাজ করিয়া থাকে, তাহা হইল আত্মম্ভরিতা ও আত্মশ্লাঘা, যাহা পরবর্তী আয়াতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হইয়াছে। অনৈক্য ও মতভেদের এই মূল কারণগুলি দূরীভূত করিয়া এই সূরা ইসলামী ভ্রাতৃত্বকে সুস্থ ও দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত করিয়াছে।