‘তাহাদের এই বিবরণ তওরাতে আছে’ বাক্য দ্বারা বাইবেলের এই বর্ণনাকে বুঝাইয়াছে— ‘তিনি কহিলেন, সদাপ্রভু সীনয় হইতে আসিলেন … ফারান পর্বত হইতে আপন তেজ প্রকাশ করিলেন এবং দশ সহস্র পবিত্র আত্মাসহ আগমন করিলেন (দ্বিতীয় বিবরণ ৩৩ঃ২)। “ইঞ্জীলে তাহাদের বর্ণনা শস্য বীজ সদৃশ্য” বলিতে বাইবেলের এই নীতি-গল্পকে বুঝাইয়াছে— “দেখ, একজন বীজবপক বীজ বপন করিতে গেল। বপনের সময় কতক বীজ পথের পার্শ্বে পড়িল, তাহাতে পক্ষীরা আসিয়া তাহা খাইয়া ফেলিল। আর কতক বীজ পাষাণময় ভূমিতে পড়িল, যেখানে অধিক মৃত্তিকা ছিল না, তাহাতে অধিক মৃত্তিকা না পাওয়াতে তাহা শীঘ্র অঙ্কুরিত হইয়া উঠিল, কিন্তু সূর্য উঠিলে পর পুড়িয়া গেল, এবং তাহার মূল না থাকাতে শুকাইয়া গেল। আর কতক বীজ কাটাবনে পড়িল তাহাতে কাটা গাছ বাড়িয়া তাহা চাপিয়া রাখিল আর কতক বীজ ভূমিতে পড়িল ও ফল দিতে লাগিল, কতক শত গুণ, কতক ষাট গুণ ও কতক ত্রিশ গুণ”(মথি ১৩ঃ ৩-৮)। প্রথম বিবরণটি নবী করীম (সাঃ)-এর সাহাবীগণের উপর প্রযোজ্য হয়। ইঞ্জীলের নীতিবাহী বর্ণনাটি ঈসা (আঃ)-এর সদৃশ প্রতিশ্রুত মুহাম্মদী মসীহের অনুসারীদের উপর প্রযোজ্য বলিয়া মনে হইতেছে। তাহারা অতি নগণ্য প্রারম্ভিক অবস্থা হইতে ধীরে ধীরে বিরাট বিশ্ব-প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইবে। তাহারা ক্রমাগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইসলামের বাণী ও বার্তাকে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছাইতে থাকিবে, যে পর্যন্ত ইসলাম অন্যান্য সকল ধর্মের উপরে বিজয় লাভ না করে। বিরুদ্ধবাদীরা এবং প্রতিপক্ষ ধর্মগুলি তখন ঈর্ষাপরায়ণতার সহিত এই ইসলামী নব অভু্যত্থানের শক্তি-সামর্থ্য ও মর্যাদার দিকে বিস্ময়াভিভূত ভাবে তাকাইতে থাকিবে।