কুরআনকে ‘যিকর’ বলা হইয়াছে। কারণঃ (ক) ইহাতে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিধিবিধান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন আকারে বার বার উপস্থাপন করা হইয়াছে, যাহাতে মানুষ সহজে সমরণ রাখিতে পারে, (খ) ইহা মানুষকে ঐ সকল মহতী শিক্ষাগুলি স্মরণ করাইয়া দেয়, যেগুলি পূর্বেকার ধর্মগ্রন্থগুলিতে অবতীর্ণ হইয়াছিল, (গ) ইহার শিক্ষাগুলিকে বাস্তব জীবনে অবলম্বন ও অনুসরণ করিয়া মানুষ আধ্যাত্মিক মর্যাদার উচ্চতম পর্যায়ে পৌঁছতে সক্ষম হয় (যিকর শব্দের অন্য অর্থ সম্মান, মর্যাদা)।