‘আইসারার রাজুলু’ অর্থ ‘লোকটা ধনী হইল’। জুয়াড়ীকে এই জন্য ‘মাইসার’ বলা হয়, যেহেতু সে তাড়াতাড়ি ও সহজপথে ধনী হইতে চায়, পরিশ্রম করিয়া, কষ্টকর কাজের মাধ্যমে ধন উপার্জন করিতে চায় না। “জুয়া খেলার ঘৃণ্য মানসিকতা সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ নাই। ইহা নিশ্চয়ই সমাজ-বিরোধী কাজ। ইহা সহানুভূতিকে পুড়িয়া ভস্মীভূত করে, আত্ম-স্বার্থকে বর্দ্ধিত করে এবং সর্ব সাধারণের চরিত্র হরণ করে। মূলতঃ ইহা একটি বর্বর অভ্যাস। গোপন অর্থ লালসাই ইহার চালিকা শক্তি। কোনও মূল্য না দিয়াই ইহা ধনার্জনের এক হীন পন্থা। দেওয়া-নেওয়ার সমতা ও ভারসাম্যের আইনকে ইহা ভঙ্গ করে। ইহা পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে এক ধরণের ডাকাতি, যেরূপ দুই বীরের মল্লযুদ্ধের ফলে হত্যা। ধন-লিপ্সা হইতে ইহার উৎপত্তি; আর আলস্যে ইহার পরিণতি। ইহা দৈব সুযোগের আকর্ষণ বৈ অন্য কিছুই নহে। দৈব সুযোগকে আচরণের ভিত্তি করা,আর নীতি ও স্থিতিশীলতার জীবনকে বিসর্জন দেওয়া একই কথা। ইহা হীন লাভের প্রতি মনকে কেন্দ্রীভূত করিয়া, জীবনের উচ্চতর উদ্দেশ্যকে ভুলাইয়া দেয়” (এনসাই, রিল, এথ)।