‘গাফারাল মাতাআ’ অর্থ সে মালামালগুলি থলিতে রাখিল, ঢাকিল ও রক্ষা করিল। গুফরান ও মাগফিরাত দুইটি শব্দই ক্রিয়া-বিশেষ্য, ‘গাফারা’ হইতে উৎপন্ন। দুইটি শব্দ দ্বারাই “নিরাপত্তাদান ও সংরক্ষণ” বুঝায়। মিগ্ফার অর্থ ‘হেলমেট’ যাহা মস্তককে রক্ষা করে। ‘যাম্ব্’ অর্থ মানুষের স্বাভাবিক দুর্বলতা বা সাধারণ দোষ যাহা মানুষের প্রকৃতির সাথে জড়িত বা ছোটখাট ক্ষতিকর ভুল-ভ্রান্তি ‘যানাবাহু’ অর্থ সে স্বীয় পদ চিহ্ন অনুসরণ করিয়া পথ চলিল (লেইন ও মুফরাদাত)। ‘ইস্তেগফার’ কেবল সাধারণ বিশ্বাসীদের জন্যই প্রয়োজনীয় নহে বরং আল্লাহ্র পবিত্র ওলীগণের জন্যও প্রয়োজনীয়। এমন কি নবীগণের জন্যও ‘ইস্তেগফারের’ প্রয়োজন আছে। প্রথমোক্তগণ ‘ইস্তেগফার’ করেন ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পাপ হইতে বাঁচিবার জন্য এবং পূর্ব-কৃত পাপসমূহের কুফল ও শাস্তি হইতে বাঁচিবার জন্য। আর শেষোক্তগণ ইস্তেগফার করেন, তাহাদের উদ্দেশ্য সাধনের পথে যে সকল মানব-সুলভ দুর্বলতা অন্তরায় রূপে দাঁড়াইতে পারে, সেইগুলি হইতে বাঁচিবার জন্য। নবী-রসূলগণও মানুষ, নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও তাহাদের মানব-সুলভ স্বাভাবিক দুর্বলতা ও ছোটখাট অনিচ্ছাকৃত ক্রটি-বিচু্যতি কখনও কখনও ঘটতে পারে। সেই কারণে, খোদার সাহায্যে ঐগুলি হইতে রক্ষা পাইবার জন্য তাহাদের ইস্তেগফার করার প্রয়োজন হয়। (২৭৬৫ টীকাও দেখুন)।