‘হা মীম্’ অক্ষর দুইটি দ্বারা আল্লাহ্তা’লার দুইটি গুণ হামীদ, মজীদ, (প্রশংসা ও সম্মানের অধিকারী) বুঝাইয়া থাকিবে অথবা ‘হাইইয়্যুন, কাইয়্যুমুন’ (চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী) বুঝাইয়া থাকিবে। এই উভয় প্রকারের গুণাবলীর সহিত এই সূরায় বর্ণিত বিষয়াবলীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রহিয়াছে। ইহাতে আল্লাহ্তা’লার সম্মান, মহিমা, দীপ্তি, সর্বময় ক্ষমতাগুণের উল্লেখ বারংবার করা হইয়াছে এবং প্রথম কয়েকটি আয়াতের মধ্যেই উপরোক্ত গুণাবলী প্রকাশক ‘আরশ’ শব্দটি দুইবার ব্যবহার করা হইয়াছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হইল, একটি আধ্যাত্মিকতা-বিহীন মৃত জাতির আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণ ও নব-জীবন লাভ। ‘হাইয়্যু’ ও ‘কাইয়্যুম’ শব্দ দুইটির সম্পর্ক এই বিষয়টির সহিত জড়িত। এজন্যই সংক্ষিপ্তাকারের ‘হা মীম্’ এই সূরার প্রারম্ভে ব্যবহৃত হইয়াছে। ইহা বিশেষভাবে লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, এই সূরা ও পরবর্তী ছয়টি সূরা মিলিয়া একটি বিশেষ গ্রুপ গঠন করিয়াছে। এই গ্রুপের প্রত্যেকটি সূরা ‘হামীম্’ সংকেত দ্বারা শুরু হইয়াছে। ইহা দ্বারা বুঝা যায় যে, সূরাগুলির বিষয়-বস্তুর মধ্যে একটা প্রগাঢ় সম্পর্কে রহিয়াছে।